পটুয়াখালী কিসের জন্য বিখ্যাত
পটুয়াখালী কিসের জন্য বিখ্যাত
পটুয়াখালী কিসের জন্য বিখ্যাত পটুয়াখালী জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের আলোচনায় আমরা আপনাকে জানাবো যে, পটুয়াখালী জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত,পটুয়াখালী জেলার বিখ্যাত খাবার,পটুয়াখালী জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে।
পটুয়াখালী জেলা সম্পর্কে তথ্য
পটুয়াখালী জেলা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের অর্ন্তগত একটি উপকূলীয় জেলা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ জেলা পটুয়াখালী। ১৯৬৯ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে পটুয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পটুয়াখালী জেলায় রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। পটুয়াখালী জেলার পূর্ব দিকে রয়েছে ভোলা জেলা,পশ্চিম দিকে রয়েছে বরগুনা জেলা, উওর দিকে বরিশাল জেলা ও দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর। পটুয়াখালী জেলায় রয়েছে ৮টি উপজেলা ও ৭৬টি ইউনিয়ন।
পটুয়াখালী জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
পটুয়াখালী জেলা কুয়াকাটার জন্য বিখ্যাত। এছাড়া পটুয়াখালী জেলা বিশেষ করে মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ। এছাড়া পটুয়াখালী জেলায় কুটির শিল্প ও মৃৎশিল্প দেখা যায়। তাছাড়া পটুয়াখালী জেলায় রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান,যা আপনি সব দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করতে চান তাতে আপনার বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।
পটুয়াখালী জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
পটুয়াখালী জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহের নাম নিচে উপস্থাপন করা হলো:
- কুয়াকাটা
- কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
- কুয়াকাটা ইকোপার্ক
- কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান
- মহেন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়ি
- শ্রীরামপুর জমিদার বাড়ি
- ফাতরার চর
- কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির
- কানাই বলাই দিঘী
- হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফার মাজার
- কাজলার চর
- কনকদিয়া পালপাড়া ঐতিহাসিক কম্পানি পুকুর
- পায়রা সেতু
- শের-ই-বাংলার দাদার পৈতৃক বাড়ি
- কনকদিয়া পালপাড়া মৃৎশিল্প
- তুফানিয়ার চর
- জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত
- কুয়াকাটা রাখাইনপল্লী
- পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র
- সোনারচর
- মনিপাড়া মৎস খামার
- চরমোন্তাজ
- কলাগাছিয়ার চর
- চরআন্ডা
- মজিদবাড়িয়া মসজিদ
- কলাগাছিয়ার চর
- পানি জাদুঘর
- সীমা বৌদ্ধ বিহার
- ঘসেটি বিবির মসজিদ
- শৌলা পার্ক
- কালাইয়া প্রাচীন বন্দর
- পটুয়াখালী শেখ রাসেল শিশু পার্ক
- মদনপুরার মৃৎশিল্প
- চন্দ্রদ্বীপের রাজকন্যা কমলারানীর দিঘি
- কালিশুরী ইসাখার মসজিদ
- তমিরুদ্দিন আউলিয়ার মাজার – কালাইয়া
পটুয়াখালী জেলার বিখ্যাত খাবার
পটুয়াখালী জেলার বিখ্যাত খাবার তালিকার রয়েছে মহিষের দই। এছাড়া আরো অনেক ধরনের সুস্বাদু খাবার রয়েছে যা আপনি পটুয়াখালী জেলায় আসার পর দেখতে পাবেন। পটুয়াখালী জেলায় প্রচুর সবুজ শাকসবজি চাষ হয়। পটুয়াখালী জেলায় উৎপাদিত ফলের তালিকায় রয়েছে ডমুর,কমলালেবু,বাদাম,গাব,নারিকেল,আনারস,লিচু,জাম,কাঁঠাল,পেয়ারা,তরমুজ,আম ইত্যাদি ফল।
পটুয়াখালী জেলার নামকরণ
পটুয়াখালী শহরের বয়স প্রায় দেড়’শ বছর। এই নামের উৎপত্তি নিয়ে মতান্তর রয়েছে। কবে, কখন, কীভাবে পটুয়াখালী নামকরণ হয়েছিল তা বলা দুরূহ ব্যাপার। এ নামকরণ সম্পর্কে তেমন কোনো দালিলিক তথ্য নেই। পটুয়াখালী নামকরণের ক্ষেত্রে মতভেদ থাকলেও অধিকাংশই স্বর্গীয় দেবেন্দ্র নাথ দত্তের পুরানো কবিতার সূত্র ধরে “পতুয়ার খাল” থেকে পটুয়াখালী নামকরণের উত্পত্তি বলে সমর্থন করেন। সপ্তদশ শতাব্দীতে পর্তুগীজ জলদস্যুদের হামলা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন, অপহরণ ও ধ্বংসলীলায় বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের দক্ষিণাঞ্চল প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। এসময় বর্তমান পটুয়াখালী শহর এলাকা ছিল সুন্দরবন এবং নদীর উত্তর পাড়ে ছিল লোকালয়। উত্তর পাশের বর্তমান লাউকাঠী নদী ছিল লোহালিয়া ও পায়রা নদীর ভাড়ানী খাল। এই ভাড়ানী খাল দিয়েই পর্তুগীজ জলদস্যুরা এসে গ্রামের পর গ্রামে চালাত লুণ্ঠন ও অত্যাচার। এ খাল দিয়ে পর্তুগীজদের আগমনের কারণে স্থানীয়রা তৈরি করে অনেক কেচ্ছা ও কল্প কাহিনী। এর নাম তখন সবার মুখে মুখে পতুয়ার খাল। পরবর্তীতে এই পতুয়ার খাল থেকেই পটুয়াখালীর উৎপত্তি হয়। ১৯৮০ সনে শেরেবাংলা টাউন হলে অনুষ্ঠিত ‘পটুয়াখালী জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ শীর্ষক সেমিনারে অধিকাংশ বক্তা, প্রবন্ধকার ও ‘বরিশালের ইতিহাস’-এর লেখক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ এই মতকে সমর্থন করেন। পটুয়াখালী নামকরণের অপর দু’টি মত হচ্ছে এ অঞ্চলে একসময় পটুয়ার দল বাস করত। এরা নিপুণ হাতে মৃৎপাত্র তৈরি করে তাতে নানা ধরনের পট বা ছবির সন্নিবেশ ঘটাত। এই ‘পটুয়া’ থেকে ‘পটুয়াখালী’ নামের উৎপত্তি হয়ে থাকতে পারে। অথবা পেট-আকৃতির খাল বেষ্টিত এলাকাই হয়তো পেটুয়াখালী এবং পরে তা অভিহিত হয় পটুয়াখালী নামে। তবে শেষোক্ত অভিমত দু’টির কোনো জোরালো সমর্থন মেলেনি।
পটুয়াখালী জেলা কবে শত্রুমুক্ত হয়?
দীর্ঘ ৮ মাস পাক-হানাদারদের হাতে অবরুদ্ধ থাকার পর একাত্তরের ৮ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত হয় এই জেলা। এইদিনে একদিকে স্বজন হারানোর বিয়োগ ব্যাথার দীর্ঘশ্বাস, অন্যদিকে মুক্তির আনন্দে উদ্বেল, আর সৃষ্টি সুখের উল্লাস । হৃদয় উজাড় করে বরণ করে নেয় পটুয়াখালীবাসী হানাদার মুক্ত এই দিনটিকে।পটুয়াখালী’ নামের উৎপত্তি হয়ে থাকতে পারে। অথবা পেট-আকৃতির খাল বেষ্টিত এলাকাই হয়তো পেটুয়াখালী এবং পরে তা অভিহিত হয় পটুয়াখালী নামে। তবে শেষোক্ত অভিমত দু’টির কোনো জোরালো সমর্থন মেলেনি।