Travel

আয়ারল্যান্ড বেতন কত | আয়ারল্যান্ডে ভিসা খরচ কত

আপনি যদি আয়ারল্যান্ডে যেতে চান তবে আপনার জন্য আয়ারল্যান্ড বেতন কত এই সাইটি হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তবে অনেকেই শুধু এই তথ্য না জানার কারণে বিদেশ যাওয়া তাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যায়। প্রথমে আপনাকে এই জব সাইটে গিয়ে আপনাকে একাউন্ট করতে হবে তার পর সেখানে আপনাকে একটি তাদের দেয়া ফরমেট অনুযায়ী একটি সিভি তৈরী করতে হবে। তার পর সেখানে

দেয়া জব সার্কুলার দেখে আপনার পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সেই কাজে আপনার চাকুরির জন্য আবেদন করবেন। তবে যদি কোন কারণে আপনার কোন কাজের অভিজ্ঞতা না থাকে তবে আপনি চেষ্টা করবেন যে কাজ গুলো দক্ষতা না থাকলেও চলে বা করা যায় সেই কাজের জন্য আবেদন করা। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ক্লিনিয়ার , হেলপার এই সকল জব গুলোতে নিজে আবেদন করতে পারেন। তবে

আপনাদের সর্তকতার জন্য বলা আপনি যদি কোন কাজে দক্ষ হোন তবেই আপনার চাকুরি পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে । অন্যথায় আপনার চাকুরি পাওয়ার সম্ভবনা কম থাকে । তবে যাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা নাই হতাশ হওয়ার কারণ নেই অনেকেই নতুন হওয়া সত্ত্বেও চাকুরি পাচ্ছে। আর আপনার চাকুরির জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন দেখবেন আল্লাহর রহমতে চাকুরি হবে। তবে বলে রাখা ভালো একটি দুটি আবেদন করেই হাপিয়ে যাবেন না। ধৈর্য নিয়ে বার বার চেষ্টা করতে থাকুন।

আরো জানুন: বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যাওয়ার উপায়

আয়ারল্যান্ড বেতন কত

আমাদের কাছে অনেকেই প্রশ্ন করতে থাকেন আমি এই দেশটিতে যেতে চাইতবে সেক্ষেত্রে আমার বেতন কত হবে। আর আমি কি ধরনের চাকুরি পাবো। কারণ আপনি যদি এই দেশটিতে যেতে চান তবে কত বেতন হবে এই বিষয়টি পরিস্কার করে বলা খুবই কঠিন কারণ হিসেবে দেখা

  • যায় কাজের ধরণ ও কম্পানির সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী বেতন নির্ভর করে । তাই আজকে আমি আপনাদের
  • সাথে শেয়ার করবো এই দেশটিতে কয়েকটি পেশার কাজের মুজুরি যাতে করে আপনাদের একটা ধারণা
  • হতে পারে আপনি যদি এই দেশটিতে আসেন তবে আপনার কত মুজুরি হতে
  • পারে। সাধারণত দেখা যায় এই দেশটিতে ঘন্টা হিসেবে মুজুরি প্রদান করা হয়। তাই আপনি যে কাজেই
  • অংশগ্রহন করুন আপনাকে তারা নূন্যতম ঘন্টা হিসেবে বেতন প্রদান করবে। কয়েকটি পেশার বেতন
  • আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো যেমন – একজন হিসাব রক্ষকের বেতন বছরে =৫২১১৭ ইউরো।
  • একজন সিভিল ইন্জিনিয়ারের বেতন বছরে -৪৫৯৪৭ ইউরো। যারা রাজমিস্ত্রির কাজ করবে তাদের গড়ে প্রতি
  • ৩৬ মাসে বেতন হবে – ৩৭১০৭ ইউরো। ৪৫৩৩৭ ইউরো বেতন হবে বছরে একজ নার্সের । যারা বিভিন্ন
  • রেস্টুরেন্টে কাজ করবেন এই জায়গায় কয়েক ধরনের বেতন আছে তবে ধরে নেয়া যায় সেফদের বেতন
  • বেশি তাই আপনার কাজের ধরণ বুঝে এই জায়গাতে বেতন হবে বছরে ২৩০০ থেকে ৪৩০০ ইউরো।
  • এছাড়াও আপনি যদি কোন বিশেষ পেশার বেতন জানতে চান তবে আমাদের কাছে লিখতে পারেন । আমি
  • আপনাকে সেই পেশার বেতন জানিয়ে দিব ।

আয়ারল্যান্ড এর মধ্যে কোন কাজের চাহিদা বেশি।

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, কিভাবে আমাদের বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা সংগ্রহ করা যাবে। তো এবার আমাদের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আর সেই বিষয় টি হলো, বর্তমান সময়ে আয়ারল্যান্ড এর মধ্যে কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে।

কেননা আপনি বেশ ভালো করে জানবেন যে, প্রতিটা দেশে নির্দিষ্ট কিছু কাজের চাহিদা থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে আয়ারল্যান্ড এর মধ্যেও এমন অনেক কাজ রয়েছে। যে কাজ গুলোর ব্যাপক পরিমাণ চাহিদা রয়েছে। আর আয়ারল্যান্ড এর মধ্যে চাহিদা সম্পন্ন সেই কাজ গুলোর তালিকা নিচে প্রদান করা হলো। যেমন,

  • ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ
  • পাইপ ফিটিং এর কাজ
  • প্রযুক্তি রিলেটেড কাজ
  • ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ
  • বিভিন্ন কনস্ট্রাকশন এর কাজ
  • এসি মেরামত করার কাজ
  • হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর কাজ
  • ড্রাইভিং এর কাজ
  • সাটারিং কার্পেটিং এর কাজ

মূলত প্রবাসীদের জন্য আয়ারল্যান্ড এর মধ্যে কোন কাজ গুলোর চাহিদা বেশি রয়েছে। সেই কাজ গুলোর নাম উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। তো আপনি যদি আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা পেতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনি আগে থেকেই উপরে উল্লেখিত যে কোন নির্দিষ্ট কাজে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন।

আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা প্রসেসিং খরচ কত?

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আমরা আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পেরেছি। তবে সেই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা প্রসেসিং খরচ সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারণা রাখতে হবে। আর আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা প্রসেসিং এর খরচ কত হবে, সেটা নির্ভর করবে আপনি কিভাবে সেই ভিসার জন্য আবেদন করেছেন তার উপর।

কারণ আপনি যদি ভারতের মধ্যে অবস্থিত আয়ারল্যান্ড দূতাবাস থেকে ভিসার জন্য আবেদন করেন। সে ক্ষেত্রে আপনার ০৪ লাখ থেকে ০৫ লাখ টাকা খরচ করার প্রয়োজন পড়বে। যদিও বা আপনার ভিসার ধরন অনুযায়ী এই টাকার পরিমাণ কিছু কম অথবা বেশি হতে পারে।

কিন্তু আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের এজেন্সির মাধ্যমে আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা প্রসেসিং এর কাজ করেন। তাহলে আপনার আরও বেশি টাকা খরচ করার প্রয়োজন পড়বে। এর কারণ হলো এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং এর কাজ করলে আপনার ০৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ০৭ লাখ বা তারও বেশি টাকা খরচ করার প্রয়োজন হতে পারে।

ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার কি কি কাগজপত্র লাগবে ?

একটা বিষয় আমরা সকলেই বেশ ভালো করে জানি। আর সেই বিষয়টি হল, যখন আমরা কোন দেশে যাওয়ার জন্য ভিস আবেদন করি। তখন আমাদের বেশ কিছু কাগজ পত্র দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। ঠিক একই ভাবে যখন আপনি কাজের ভিসার মাধ্যমে আয়ারল্যান্ড যেতে চাইবেন। তখন আপনার বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর দরকার পড়বে। আর সেগুলো হলো,

আপনার নিকট একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। যে পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ০৬ মাস হতে হবে।
আপনাকে অবশ্যই জাতীয়তা প্রমাণ করতে হবে। সেজন্য আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এর কপি দিতে হবে।
এ গুলোর পাশাপাশি আপনার সদ্য তোলা রঙ্গিন ছবি স্ক্যান করে দিতে হবে।
যদি আপনার পূর্বে কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকে। তাহলে আপনার সেই কাজের সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
এছাড়াও আপনাকে আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর কপি জমা দিতে হবে।
সাধারণত আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসার জন্য প্রাথমিক ভাবে যে সকল ডকুমেন্টস প্রদান করতে হয়। সেই ডকুমেন্ট গুলোর তালিকা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আপনার কাজ এবং ভিসার ধরন এর উপর ভিত্তি করে আরো অন্যান্য ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হতে পারে।

আয়ারল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কত টাকার স্টেটমেন্ট প্রয়োজন?

যদিও বা আজকের এই আর্টিকেল টি আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা নিয়ে লেখা হয়েছে। তবে আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে এমন অনেক শিক্ষার্থী আছেন। যারা মূলত স্টুডেন্ট ভিসায় আয়ারল্যান্ড যেতে চায়। আর আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন। তাহলে একটা কথা আপনাকে জেনে রাখতে হবে।

আর সেটি হলো, আয়ারল্যান্ড এর মধ্যে শিক্ষার্থী ভিসায় যেতে হলে। আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার ব্যাংক একাউন্টের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভেদে ন্যূনতম 7,000 EUR থেকে 10,000 EUR ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হবে। তবে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী এই অর্থের পরিমাণ কম অথবা বেশি হতে পারে।

5/5 - (1 vote)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button