সাজেক দেখার মত কি কি আছে?
সাজেক দেখার মত কি কি আছে?
মেঘপুঞ্জি রিসোর্ট সাজেক ভ্যালির পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় রিসোর্ট গুলোর মধ্যে মেঘপুঞ্জি রিসোর্ট (Meghpunji Resort) অন্যতম একটি রিসোর্ট।
আদ্রিকা ইকো কটেজ আদৃকা শব্দের অর্থ পাহাড়।
রুইলুই রিসোর্ট সাজেকের সবুজ পাহাড় আর মেঘের মিতালির মাঝে পর্যটকদের জন্য রয়েছে রুইলুই রিসোর্ট।
রাঙ্গামাটি কমলক ঝর্ণা
সাজেক ভ্রমণের পূর্বে করণীয়
বলা হয়ে থাকে, সৌন্দর্যের সার্থকতা কষ্টের মধ্যেই। তাই সাজেকের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের উপভোগ করতে হলে একটু কষ্ট পোহাতে হবে। ভ্রমণ অনভিজ্ঞ মানুষের জন্যে যা মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। সাজেক ভ্রমণের ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে মাথায় রাখতে হবে, ভ্রমণজনিত অসুস্থতার কথা। “রাঙামাটির ছাদ” নামে পরিচিত সাজেক ভ্যালীর অবস্থান যেহেতু ১৭২০ (রুইলুইপাড়া) থেকে ১৮০০ ফুট (কংলাকপাড়া) এই উচ্চতায়। পাহাড়ি উচ্চতায় পরিবেশে অক্সিজেনের পর মাত্রা কম থাকায় উচ্চতাজনিত সমস্যা এবং পাহাড়ি এলাকায় আবহাওয়াজনিত সমস্যার কথা ও মাথায় রাখতে হবে।
যেভাবে সাজেক যাবেন
সাজেক ভ্রমণের নানা পথ রয়েছে। তবে সাজেক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে প্রথমে খাগড়াছড়ি পৌঁছানো উত্তম।অতঃপর খাগড়াছড়ি শহর অথবা দিঘীনালা হতে চাঁন্দের গাড়ি বা অন্য যেকোনো সুবিধাজনক বাহনের মাধ্যমে বাঘাইছড়ি ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে আর্মি ক্যাম্পের একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে, যা কেবল, সকাল ১০ঃ ০০টা এবং দুপুর ২ঃ০০টাই অনুমতি স্বাপেক্ষে গাড়ি অগ্রসরমান হওয়ার অনুমতি দেয়।তাই সাজেকে ভ্রমণাগত সকলকে আর্মি এসকর্টের নির্দিষ্ট সময় এর কথা মাথায় রাখতে হবে।
চাঁন্দের গাড়ি
সাজেক ভ্যালীতে ভ্রমণের জন্যে কিছু স্থানীয় গাড়ি রয়েছে, যা চাঁন্দের গাড়ি নামে বহুল পরিচিত।খাগড়াছড়ি সদর থেকে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার মূল্যে চাঁন্দের গাড়ি রিজার্ভ করতে হয়। সাধারণত চাঁন্দের গাড়ি ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী ধারণের ক্ষমতা রাখেন। আঁকাবাকা পাহাড়ি পথে যেহেতু সাজেক যেতে হয়, চেষ্টা করবেন বড় গাড়ি রিজার্ভ করার। এক্ষেত্রে আপনারা ছোটো যানবাহন পরিহার করার চেষ্টা করবেন।
সাজেক ভ্যালির রিসোর্ট / কটেজ / হোটেল
হোটেল বুকিং সাজেক ভ্রমণের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভ্রমণপিপাসুদের প্রিয় একটি জায়গা সাজেক ভ্যালী। ছুটির দিনগুলিতে সাজেক রিসোর্টগুলোতে বুকিং মেলা দুষ্কর। এক্ষেত্রে অনলাইনে আগে থেকে বুকিং দিয়ে রাখা ভালো।
সাজেক ভ্যালির হোটেল রিসোর্টগুলি সিজন এবং অফ সিজনের কথা মাথায় রেখে মূল্য ছাড় দেয়। শীতের শেষে সাজেক ভ্রমণের আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে। এ সময়ে পর্যটকদের চাপ কিছুটা কম ছিলো। আগে থেকে রিসোর্ট বুকিং না হওয়ায়, রুম পেতে অনেকখানি বেগ পেতে হয়েছে। শেষমেশ “খোয়াল বুক রিসোর্ট ” বুকিং পেয়েছিলাম। এই রিসোর্ট নিয়ে বিশেষ কিছু করে বলার নেই। থাকার জায়গা মানসম্মত ছিলো। তবে এক্ষেত্রে এক রাত এক রুমের ভাড়া পড়েছে পাঁচ হাজার টাকা। তবে সেখানকার খাবারের মেন্যু নিয়ে সত্যিই হতাশ হতে হয়। খোয়াল বুক রিসোর্টে ভালো লাগার বিষয় ছিলো রুমের ব্যালকনি থেকে খুব দারূণ সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় দেখা যেতো।
নিরাপত্তা
সাজেক ভ্রমণের ক্ষেত্রে আপনাকে নিরাপত্তার বিষয়ে একেবারে চিন্তা করতে হবে না। এমনকি রাতের সাজেকে আপনি নিরাপত্তার সাথে রাস্তায় হাঁটতে পারবেন। সাজেকের পুরো এলাকা আর্মির নজরদারিতে থাকে।
ঘোরাঘুরি নিয়ে স্ট্যাটাস – ভ্রমণ নিয়ে ক্যাপশন
খাবার
হোটেল বা রিসোর্টে আপনাকে অন্তত ১/২ ঘন্টার আগে খাবার অর্ডার করতে হবে।এখানে ব্যাম্বু চিকেন এবং পাহাড়ি মুরগী বেশ জনপ্রিয়। আপনাকে ব্যাম্বু চিকেন অর্ডার করতে হলে কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে জানাতে হবে সাথে সাথে অনেক খাবারই অর্ডার করলে পাওয়া যায় না।সাজেকে ব্যাম্বু চিকেন খাওয়ার অভিজ্ঞতা মোটেও ভালো নয়।
তবে সাজেকে কলা এবং বাঁশে চা পাওয়া যায় যা মজা।
তবে সাজেকে অন্যান্য জায়গার তুলনায় খাবারের দামটা একটু বেশি।
সাজেক ভ্যালির দর্শনীয় স্থান
সাজেক ভ্যালি জায়গাটিই ছবিতে আঁকা দৃশ্যপটের মতো, তাই আপনার ছবি তোলার জায়গার অভাব হবে না। আপনারা ঘুরতে পারবেন, রুইলুই পাড়া, কংলাক পাড়া, হ্যালিপ্যাড, স্টোন গার্ডেন এবং লুসাই গ্রাম। লুসাই গ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পোশাক পড়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া রয়েছে কংলাক পাহাড়, যেখানে উঠতে হলে সকালের সময়টি বেছে নেয়াই উত্তম। ১৮০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই কংলাক পাহাড়। যেখানে দেখবেন, কেবল মেঘ আর মেঘ। সূর্যের উঁকি দেয়ার দৃশ্য আর মেঘের ভেলা যেনো জানান দিবে প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়ার কষ্টের মধ্যেই সার্থকতা।
সাজেক দেখার মত কি কি আছে?
মেঘপুঞ্জি রিসোর্ট সাজেক ভ্যালির পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় রিসোর্ট গুলোর মধ্যে মেঘপুঞ্জি রিসোর্ট (Meghpunji Resort) অন্যতম একটি রিসোর্ট।
আদ্রিকা ইকো কটেজ আদৃকা শব্দের অর্থ পাহাড়।
রুইলুই রিসোর্ট সাজেকের সবুজ পাহাড় আর মেঘের মিতালির মাঝে পর্যটকদের জন্য রয়েছে রুইলুই রিসোর্ট।
কমলক ঝর্ণা
ঢাকা থেকে ট্রেনে কিভাবে সাজেক ভ্যালি যাওয়া যায়?
ঢাকা থেকে সাজেক ভ্যালির সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই। যাইহোক, আপনি ফেনী যাওয়ার ট্রেনে যেতে পারেন তারপর ট্যাক্সি নিয়ে সাজেক ভ্যালি যেতে পারেন । বিকল্পভাবে, আপনি চট্টগ্রামের বাসে যেতে পারেন তারপরে ট্যাক্সি নিয়ে সাজেক ভ্যালিতে যেতে পারেন।