ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ কত কিলোমিটার
ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ কত কিলোমিটার
ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ কত কিলোমিটার বর্তমানে মানুষ ট্রেন যোগাযোগের মাধ্যমে বেশি অভ্যস্ত হয়ে গেছে। কারণ খুব সহজে মানুষ ট্রেনে আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে পারে অল্প খরচে। সবচেয়ে আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে আকাশ পথে যাতায়াত করতে হবে। তবে তা সাধারণ বাহনের ক্ষেত্রে খরচ হবে তুলনায় প্রায় কয়েক গুণ। অন্যদিকে যদি বাসে যাতায়াত করেন তাহলে আপনাকে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। সব সময় সঠিক বাস পাওয়া সম্ভব হয় না আবার অনেক সময় জ্যামে থাকতে হয় দীর্ঘ সময় পর্যন্ত। তবে যদি স্বল্প খরচে আরামদায়কভাবে নারায়ণগঞ্জ ভ্রমন করতে চান তাহলে অবশ্যই ট্রেনে ভ্রমণ করা আপনার জন্য বেশ সুবিধা হবে।
মাত্র কয়েকশ টাকা খরচ করে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ এসি চেয়ারে বসে যেতে পারবেন। যেখানে একটি বিমান ভাড়ার খরচ হবে প্রায় কয়েক হাজার টাকা এবং বাস ভাড়া হবে প্রায় দ্বিগুণ। অনেকেই প্রশ্ন করে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ এর দূরত্ব কত? মূলত ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ এর মোট দূরত্ব হচ্ছে ৩৫ কিলোমিটারের মতো। যা অনেক স্বল্পদীর্ঘ পথ। আপনি যেহেতু অর্থ দিয়ে ভ্রমন করবেন তাহলে অবশ্যই আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করবেন স্বল্প খরচে।
ঢাকা টু নারায়ণগঞ্জ ট্রেনের সময়সূচি এবং ভাড়ার তালিকা | Dhaka to Narayanganj train schedule
যেহেতু এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করবেন অবশ্যই ট্রেনের মাধ্যমে যাদের করা আপনার জন্য উত্তম। কারণ বাসে যাতায়াত করলে আপনাকে নির্দিষ্ট স্থান পরপর বাস পরিবর্তন করা হতে পারে। কিন্তু ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত করলে অল্প সময়ে আপনি একটি যানবাহন ব্যবহার করে আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। আর যারা ফ্যামিলি নিয়ে ভ্রমণ করেন তাদের জন্য আরো সুবিধাজনক। তবে বাচ্চাদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর আসছে ঈদ আর এই ঈদে অনেকে বাড়ি ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেখা যায় প্রতিবছর বাসে যানজটের কারণে দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়ে থাকে রাস্তায়। অনেকে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনা সঠিক সময়ে। এমনকি অতিরিক্ত জ্যামের কারণে বাড়ি ফিরতে পারে না অনেকে।
তবে ট্রেন যাতায়াতের ক্ষেত্রে জ্যামের ভয় একদমই নেই। একবার ট্রেন ছেড়ে দিলে আপনার গন্তব্যে নির্দিষ্ট সময় পৌঁছাতে পারবেন। বিশেষ করে যারা দূরের যাতায়াত করবে তাদের জন্য একটি আদর্শ বাহন এটি। আমরা আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনা করবো এখন।
সকল কমিউটার ঢাকা টু নারায়ণগঞ্জ ট্রেনের সময়সূচী
ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ এর উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি কম্পিউটার ট্রেন প্রতিনিয়ত ছেড়ে যায়। আপনি চাইলে এই ট্রেনগুলোর মাধ্যমে মাত্র ২০ টাকা ব্যয় করে নারায়ণগঞ্জ পৌঁছাতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে টিকিটের মূল্য যে কোন সময় পরিবর্তন হতে পারে। আসুন ট্রেনের সময়সূচি এবং ভাড়া তালিকাটি এখন দেখে নেই।
নারায়ণগঞ্জ কমিউটার ২
এই ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটির দিন হচ্ছে শুক্রবার। প্রতিদিন সকাল ৫:৩০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করে এবং নারায়ণগঞ্জ গিয়ে পৌঁছায় ৬টা ১০ মিনিটে। অর্থাৎ যারা খুব ভোরে যাতায়াত করতে চান তাদের জন্য এর ট্রেনটি আদর্শ। আপনি চাইলে এই ট্রেন মাধ্যমে সকালের অফিস করতে পারবেন।
নারায়ণগঞ্জ কমিউটার ৪
অন্যান্য ট্রেনের মত এই ট্রেনের ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন হচ্ছে শুক্রবার। প্রতিদিন দুপুর ১ঃ৩০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এবং নারায়ণগঞ্জ পৌঁছায় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে।
নারায়ণগঞ্জ কমিউটার ৬
প্রতি সপ্তাহের শুক্রবারে এই ট্রেনটি চলাচল বন্ধ রাখে। প্রতিদিন রাত ১০ টা ২০ মিনিটে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং নারায়ণগঞ্জে গিয়ে পৌঁছায় রাত ১১টা ৫ মিনিটে। বিশেষ করে যারা ঢাকায় চাকরি করেন তারা অফিস শেষে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জে আবার ফিরতে পারবেন একই রাতে।
ঢাকা টু নারায়ণগঞ্জ ট্রেনের সময়সূচী এবং ভাড়া তালিকা
উপরে আপনারা দেখলেন সময়সূচি এখন আপনাদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে এর ভাড়ার তালিকা। এই রুটে সাধারণত আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে না যার কারণে শুধুমাত্র কম্পিউটার ট্রেনগুলো চলে। এর মূল কারণ হচ্ছে ঢাকা টু নারায়ণগঞ্জ এর দূরত্ব খুব কম। কম্পিউটার ট্রেনের শোভন চেয়ারের মূল্য মাত্র ১৫ টাকা তবে এর ভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে এর ভাড়া দিতেও পারে।
স্থলপথে
ঢাকা থেকে অনেক বাস নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচল করে। ঢাকার গুলিস্থান থেকে পোস্তগোলা ও পাগলা হয়ে আনন্দ পরিবহন, জমজম পরিবহন, নিরালা পরিবহন চলাচল করে। আর বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে উৎসব পরিবহন, বন্ধন পরিবহন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস শীতল পরিবহন মেয়র হানিফ ফ্লাই ওভার দিয়ে নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচল করে।
ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে নারায়ণগঞ্জের সাথে একটি সিঙ্গেল লাইন ট্রেন লাইন আছে যেটিতে বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ট্রেন সার্ভিস পরিচালিত হয়। এতে প্রতিদিন ১৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। কমলাপুর রেল স্টেশনের শরহতলী প্লাটফর্ম থেকে ট্রেনগুলো ছেড়ে যায়। নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও গেন্ডারিয়া, পাগলা, ফতুল্লা এবং চাষাড়ায় থামে ট্রেনগুলো। এসব ট্রেনে মহিলাদের জন্য আলাদা বগিও থাকে। কম খরচে যাতায়াতের জন্য অনেকেই এই ট্রেন সার্ভিসের সেবা নিয়ে থাকেন। এখন মেসার্স এস আর ট্রেডিং-এর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের এই ট্রেন সার্ভিসটি পরিচালিত হচ্ছে।